সর্বশেষ আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সুনামগঞ্জে ধান কাটার মেশিন প্রদানে অনিয়ম

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে সরকারের বরাদ্দকৃত কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন প্রদানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন এক কৃষক। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের দৈনিক সুনামকণ্ঠের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী কৃষক বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের রফিক মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক রফিক মিয়ার ভাতিজা শরিফ আহমদ বলেন, আমাদের পরিবার আর্থিকভাবে তেমন স্বাবলম্বী না হওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে আমি সরকারের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষিযান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭০% ভতুর্কী মূল্যে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি অফিসে একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনের জন্য আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণে রফিক মিয়ার নামে একটি হারভেস্টার মেশিন অনুমোদন হয়, এরই প্রেক্ষিতে কৃষি অফিস কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র প্রদান করা হলেও পরবর্তীতে জানতে পারি বরাদ্দকৃত কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনটি বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি বা আমার পরিবার কোন কথা না বললেও গেল বছরের ২৬ ও ২৮ নভেম্বর আমার চাচার (রফিক মিয়ার) ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে (০১৭১২-৭৪০৫৮৮ নম্বর থেকে) একটি ফোন আসে। যেটি রিসিভ করেন আমার চাচী (রফিক মিয়ার স্ত্রী)। এসময় ফোনের ওপাশে থাকা ব্যক্তি আমাদের জন্য বরাদ্দকৃত কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে এবং কোথায় আছে সেটি জানতে চান।

তিনি আরও জনান, এসময় রফিক মিয়ার স্ত্রী ফোনের ওপাশে থাকা ব্যক্তিটিকে আমাদের নামে কোন হারভেস্টার মেশিন পাইনি জানালে তিনি (যিনি ফোন করেছিলেন) আমাদের জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে আমার নামে কৃষিযান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় ৭০% ভতুর্কী মূল্যে একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন প্রদান করা হয়েছে এবং এটি নাকি আমরা গ্রহণ করেছি বলেও জানানো হয়। এ খবর শোনার পর বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়ার কাছে গেলে তিনি এটির কোন উত্তরই দিতে পারেননি। পরে ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কৃষি অফিস থেকেই আমার নামে একটি মেশিন বিক্রি দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্তের জন্য ইউএনও বরাবর আমরা অভিযোগ করি এবং ইউএনও এটি তদন্তের জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে পাঠালেও এটির কি তদন্ত হয় তা আমরা জানতে পারেনি।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য লোভ দেখান কৃষি অফিসার নয়ন মিয়া। এতে সফল না হয়ে তিনি প্রতারণার মাধ্যমে একটি লেখাযুক্ত কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন এবং কৃষক রফিক মিয়াকে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেন। তাছাড়া রফিক মিয়ার শ্যালক শফিউল আলম বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে তদবির করলে তাকেও বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়া ও প্রভাবশালী একটি মহল। গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা কৃষি অফিসার অফিসে নিয়ে গিয়ে আমাদের একটি পুরোনো হারভেস্টার মেশিন দেখিয়ে বলেন, এটি নাকি আমাদের কিন্তু ওই ভাঙা পুরোনো মেশনটি আমরা গ্রহণ করিনি।

এ ব্যাপারে রফিক মিয়ার শ্যালক শফিউল আলম বলেন, আমি আমার দুলাভাইয়ের মেশিনটির বিষয় জানতে উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে গেলে তিনি প্রথমে জানান, এটি বাতিল হয়ে গেছে। পরে জানতে পারি এটি নাকি আমার দুলাভাইয়ের নামেই এসেছিলো। তবে কৃষি অফিসার এটি আমাদের হস্তান্তর করেননি। আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলায় আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়া বলেন, আমার উপর আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা, রফিক মিয়ার নামে বরাদ্দকৃত হারভেস্টার মেশিনটি উপজেলায় অফিসেই আছে। তারা এটি নিচ্ছেন না। এছাড়া এর বেশি কিছু আমি আপনাদের বলতে পারব না।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, আমি ছুটিতে আছি। ছুটি থেকে এসে সবকিছুর সমাধান করে দেব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: